আষাঢ়
অনিন্দিতা গুড়িয়া,
নিউ-দিল্লি
ছিন্নপত্রে লিখিত পত্র বহিয়া এনেছে পবনে
ঝড়ের শাসনে ত্রস্ত ধরণী
উড়ায়ে ধূলির বসন খানি
কাজল মেঘের বাঁধিয়া বেনুনি
চাহিয়া রহিছে সঘনে
ছিন্নপত্রে লিখিত পত্র বহিয়া এনেছে পবনে।
মেঘ গম্ভীর গরজে হরষে তা থৈ নাচিছে প্রলয়
নিকষ আঁধারে অগ্নি উগারে
বিদ্যুৎ মালা নামে নভ চিরে
কম্পিতা শাখা কহিছে সমীরে
বাজাও শঙ্খ জয়
মেঘ গম্ভীর গরজে হরষে তা থৈ নাচিছে প্রলয়।
আসিছে বৃষ্টি নব উল্লাসে শ্রুতি সুমধুর পরশে
তপ্ত ধরণী সহসাচকিতে
ম্লান নত মুখ তুলিছে দেখিতে
মত্ত বাদল আসিছে ঢাকিতে
জলসিঞ্চনে নিরসে
আসিছে বৃষ্টি নব উল্লাসে শ্রুতি সুমধুর পরশে।
অনেক দিনের পরে আবার বৃষ্টি এলো
ভেসে গেল ধরা ফিরে পেল প্রাণ
হাসি উচ্ছল নব যৌবন
গাহিছে বসুধা সুললিত গান
ঢালো বারি সুধা ঢালো
অনেক দিনের পরে আবার বৃষ্টি এলো।
ঘন বর্ষণে শীতল আবেশে হাসিছে মৃত্তিকা
অবিরাম ধারা নেচে গেয়ে ফেরে
নদী মাঠ বন জনপদ ঘিরে
ঝুমকো লতার পাপড়ি ঝুরে
মেলিছে কলাপ কেকা
ঘন বর্ষনে শীতল আবেশে হাসিছে মৃত্তিকা।
চম্পা চামেলী বকুল সুবাসে মেতেছে ভ্রমর মেতেছে
পুষ্পিতা তরু স্নাত উজ্জ্বল
বর্ষণ গীতি গাহে মেঘদল
সিক্ত বাতাস মৃদু চঞ্চল
এসেছে আষাঢ় এসেছে
চম্পা চামেলী বকুল সুবাসে মেতেছে ভ্রমর মেতেছে।
মনোহরা
অনিন্দিতা গুড়িয়া,
নিউ-দিল্লি
প্রশস্ত পিচেমোড়া দিল্লির রাস্তার
দুদিকেই সোঁদালের সমাহার
সোনার বরন ফুলে সেজেছে শহুরে পথ
নয়নাভিরাম শোভা চারিধার।
কালো পথে পিলে ফুল বিছিয়েছে বরষায়
যেনো কৃষ্ণাঙ্গীর অঙ্গরাগ
অপরূপ সুন্দর মনলোভা ছবি এক
ভীষণ তাপের বুকে জাগা ফাগ।
পত্র হীন বৃক্ষরাজি উচ্ছসিত ফুল ভারে
সৃষ্টি দেবতার বড় যতনের,
পথিকের মুগ্ধ দৃষ্টি যখনই ও রূপে মরে
অধরে ধরেনা হাসি অমলতাসের।।
