বিজয়া দশমী
অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়,
নতুন দিল্লি
ভদ্রলোক তাঁর স্ত্রীকে যথাসম্ভব সান্ত্বনা দিতে গিয়ে বলেন– পুজোর ক’টা
দিন তুমি বৃথাই কষ্ট পেলে মেয়ের চিন্তায় । আমি বলছি ও ভালোই আছে ।
বিশ্বাস কর আমার কথা ।
স্ত্রী রেগে গিয়ে বলেন – তোমার যুক্তি-তর্ক তোমার কাছেই রাখো । আমাকে
বোঝাতে এস না । আজকাল হাতে চিঠি লিখে সংবাদ জানানোর দিন আর নেই । মোবাইলে
বোতাম টিপে খবর পাঠাতে কতক্ষণ লাগে ? রুনুর দ্বারা কি সেটাও সম্ভব হচ্ছে
না ?
স্বামীর মন্তব্য-- হয়তো পুজোর ক’টা দিন আনন্দ সাগরে ভেসে বেরাচ্ছে তাই
আমাদের কথা ভুলে গিয়েছে ।
স্ত্রী প্রতিবাদ জানায় – শোকে-দুঃখে মানুষ কেবল নিজের কথাই ভাবে ।
আনন্দ-সুখে মানুষ পরের কথা চিন্তা করতে ভালোবাসে এটাই রীতি । যদি তোমার
কথাই সত্যি হয় তাহলে বিজয়া দশমী পেরিয়ে গেল অথচ একটা প্রণাম পেলাম না
এখনো ? বিষয়টা চিন্তার ।
তোমার মেয়ের নতুন বিয়ে হয়েছে হয়তো আমোদ আহ্লাদে মত্ত হয়ে আছে । আমাদের
কথা যখন মনে পড়বে তখন ঠিক প্রণাম জানাবে । তুমি দেখে নিও । এই সামান্য
ব্যাপার নিয়ে মন খারাপ করার দরকার নেই ।
লক্ষ্মী পুজোর ঠিক আগের দিন রুনু মোবাইলে বহুবার প্রেরিত মাদুর্গার
সুন্দর একটি ছবি সহ শারদীয়া শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে মা-বাবার প্রতি নিজের
কর্তব্য পালন করতে ভোলে না – “সবাইকে জানাই শুভ বিজয়া দশমীর প্রীতি
শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা” ।
স্ত্রী অপার বিস্ময় ভরা দৃষ্টি মেলে স্বামীর দিকে তাকিয়ে অনুযোগ করেন –
এমা ! এটা কি আমাদের জন্যে ? .........