দীঘা ভ্রমণ

রাকা নাথ,

কলকাতা

রাজ চক্রবর্তী তার বন্ধু বান্ধবরা এবং তাদের সকলের বাবা ও মা মিলে দীঘা যাবে। এই গল্পে রাজের বন্ধুবান্ধবদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। রাজের চার জন বন্ধু। সৌম্য, আকাশ, দীপ ও বিজয়। বিজয়ের বাবা বিজয়ের চার বন্ধু ও তাদের পরিবারকে নিয়ে যাওয়া ও আসার টিকিট কেটেছেন। বিজয় তার বাবাকে বলল, "বাবা, আমরা সবাই যে বেড়াতে যাবো, তা কত তারিখে, কটার সময় এবং কীসে করে যাবো? "

ওর বাবা বলল, "এই মাসের ২৮তারিখে। রাত ১০নাগাদ বাস। আমাদের বাস' Ac' । আর তোর চার বন্ধুদের এবং আমাদের সিট পাশাপাশি পড়েছে। "

বিজয়ের মা বলল, "আমাদের তো রাত ৯টার মধ্যে বেরিয়ে যাওয়ার কথা। এছাড়া ওর বন্ধুদের ও তো....। "

বিজয় বলল, "মা, তুমি চিন্তা করো না। আমি আমার বন্ধুদের জানিয়ে দেবো। "

বিজয়ের মায়ের নাম শুক্লা চক্রবর্তী।

বিজয়ের মাকে ওর বাবা বলল, "শুক্লা শোনো, আমাদের বাড়ি থেকে ধর্মতলা দূরে নয়, সুতরাং ৯.৩০ এর মধ্যে বেরোলেও কোনো অসুবিধা নেই। "

ক্রমে ২৮তারিখ এলো।

ওর বন্ধুদের পরিবার ওর পরিবার ধর্মতলার বাসস্টেন্ডের সামনে একসঙ্গে মিলিত হয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। ওদের বাস রাত ৯.৩০ মি, এলো। ওদের বাসের নাম "শ্যামলি পরিবহন", ওরা একে একে সবাই মিলে বাসে উঠলো।

ওরা সেই সময় টুকু বাসের মধ্যে হৈ হৈ করে কাটালো। ভোর ৩-৩০ মিনিটের মধ্যে ওরা দীঘা বাস স্টপেজে নামলো। ওরা" মা দুর্গা গেস্ট হাউসে উঠলো।" কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো।

সকাল ৫টায় ওদের ঘর দিলো। ঐ হোটেলের মধ্যে ওরা তিনটি ঘর পাশাপাশি নিলো। প্রথমটি তে ওরা ৫জন বন্ধু থাকলো, দ্বিতীয় টিতে ওদের বাবারা আর তৃতীয় টিতে ওদের মায়েরা থাকবে। ওরা হোটেলে গিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে দোকানে চা খেতে গেলো।

খাওয়ার থেকে এসে হোটেল মালিকের মুখে শুনলো যে, এখানে শিবের মন্দির, কালির মন্দির এবং জগন্নাথের মন্দির দেখে আসা যায়।

ওরা সেই দিন ই ঠিক করলো যে, ওরা দ্বিতীয় দিন ঐসব জায়গা দেখে আসবে। কারণ ওদের জায়গা গুলি দেখা হয়নি।

বিকেলে ওরা বীচে গেলো। বীচে বসে ওরা সমুদ্রের ঢেউ দেখলো, চা খেলো এবং গল্প গুজব করলো।

পরের দিন সকালে ওরা প্রথমে গেলো' চন্দ নেশ্বর মহাদেব মন্দির। 'সেখানে ওরা কুপন কেটে লাইনে দাঁড়িয়ে পরলো। আর ওরা এই ভেবে অবাক হলো যে, মেন দরজার ভিতরে এতো লোক! এখানে বিজয় আকাশকে বলল, "আকাশ, বলতো, এখানে কতো লোক হতে পারে? "

আকাশ বলল, "তা ধর প্রায় ২০০র ওপর"। ওখানে ওরা পুজা দিলো। ঐ মন্দির থেকে ফিরে এসে জগন্নাথ মন্দির দর্শন করলো। তারপর ওরা হোটেলে ঢুকলো। ঐ দিন রাতে ওরা কেনা রুটি তরকারি খেয় ঘুমিয়ে পড়লো।

তৃতীয় দিন সকালে চান নেয়া কালীমার মন্দিরে ঠাকুর দেখে দোকানে দুপুরের খাবার খেয়ে এসে যে যার ঘরে ঢুকলো।

রাজের মা সৌম্যর মাকে বলল, " দিদি, এবার আমাদের সবথেকে ভালো ঘোরা হয়েছে। তাও আবার রাজের দৌলতে। "

রাজ তার মাকে লজ্জা পেয়ে বলল, " মা, তুমি কিন্তু আমাকে ভীষণ লজ্জা দিচ্ছো। "

বিজয়ের মা বলল, "এতে লজ্জার কী আছে বাবা? ছেলেদের অতো লজ্জা পেলে চলে না। "

ওরা চতুর্থ দিন দুপুর বেলা খেয়ে দেয়ে উঠে হোটেলের সামনে থেকে 'শ্যামলি পরিবহনের 'বাস ধরে সন্ধ্যায় বাড়ি চলে এলো।