মধু যাত্রা
অনিন্দিতা গুড়িয়া,
নিউ-দিল্লি
চৈতী চাঁদের মিলন অনুরাগে
পুষ্প বনে কোকিল কুহু গায়
আমোদিত চৈত্র সন্ধ্যা
আম্রমুকুল সুগন্ধ ছড়ায়।
হাওয়ায় এখন নেই কো তাপের পরশ
দখিন সমীর বইছে মৃদুমন্দ
রক্তাভ ওই শিমুল পলাশ পথে
চন্দ্র কিরণ ঝর্ণা মধুছন্দ।
দূর গগনে শুকতারা ঐ ফুটে
চেয়ে আছে নিমেষ হারা নেত্রে
বন শ্যামলীর সুপ্ত হিয়ার মাঝে
মৃদুল গমন রাত্রি নামে ক্ষেত্রে।
পথ ভোলা মন সাগর পাড়ি দিতে
ও সখী তোর শরীর বানাস নৌকা
দাঁড়ি মাঝির দক্ষ হাতের গুনে
শূন্য হবে অহম্পুর্বিকা।
মধুমাস
অনিন্দিতা গুড়িয়া,
নিউ-দিল্লি
কৃষ্ণচূড়ার গালিচা মোড়া পথে
তোমার সঙ্গে হাঁটবো পাশাপাশি
হাতের পরে রাখবো তোমার হাত
ফিসফিসিয়ে বলব 'ভালবাসি'।
হাওয়ার পরশ লাগবে এসে গায়ে
উড়ন্ত চুল ঢাকবে আমার মুখ
চিবুক ধরে সরিয়ো কেশরাশি
আবেশে মোর বন্ধ হবে চোখ।
শিথিল আঁচল লুটাতে চায় সুখে
কৃষ্ণচূড়ার লাল পরশের আশে
লাজুক চোখের দৃষ্টি বিনিময়ে
আমায় বেঁধো আলিঙ্গনের পাসে।
বাসন্তিকা
অনিন্দিতা গুড়িয়া,
নিউ-দিল্লি
বসন্তে আজ গাঁথব মালা এই সকালে-
শিমুল পলাশ অমলতাসের ডালে।
মালতী বেলী গন্ধ বিলায় আম্রমুকুল,
লেবু ফুলের মৌতাতে আজ
সন্ধ্যা সমীর আকুল।
স্বপ্ন মায়া রঙীন চোখে
উতল চৈতী হাওয়ায়-
চিকন পাতার সমারোহে
কোকিল কুহু গায়।।