একটা দিন আদতে ঠিক কতটা বড়

সুস্মিতা ভান্ডারী কর,

পূর্ব মেদিনীপুর

মোবাইল তোমার জীবনকে দ্রুত ফুরিয়ে দিচ্ছে। তোমাকে সময়ের গুরুত্ব অনুভব করতে দিচ্ছে না। তোমার বিশ্রামের গভীর রাতগুলোকে সন্ধ্যেতে পরিণত করেছে।

একবার ফোনটা ধরলে নেশার মতো অনিচ্ছা সত্ত্বেও বেশ খানিকক্ষণ স্ক্রীন স্ক্রোল করে চলেছো। খেয়াল করে দেখবে, তুমি আগের মতো পেপার পড়ছো না, বই ওল্টাচ্ছো না এমনকি টিভি দেখাও কমিয়ে ফেলেছো। তুমি আগের মতো কথাও বলছো না, মনের অনুভূতি ভাগ করে নিচ্ছ না।

তোমার অনুসন্ধান করার সব সূত্র শুধু মোবাইল হয়ে গেছে। আড্ডায় উপস্থিত আছো কিন্তু আড্ডা দিচ্ছ না, মূলত ফোন ঘাঁটছো। আলোচনায় উপস্থিত থাকলেও উদাসীন থাকছো। তোমার যেন নতুন আর কিছুই করার, শেখার বা জানার নেই এবং এই সবের মধ্যে তুমি তোমার সারাটা দিন মোবাইলের আবর্তে কাটিয়ে ফেলছো, যা তোমায় বুঝতেই দিচ্ছে না কিভাবে দিনটা শেষ হয়ে যাচ্ছে।

আর এটা বুঝতে যে একটা দিনে কতটা সময় আদতে থাকে বা কতটা সময় তুমি কাজে লাগাতে পারো কিন্তু কাজে লাগাচ্ছ না।

জাস্ট একটা কাজ করো। একটা দিন শুধু ফোনটা বন্ধ করে সেটার সংস্পর্শ থেকে ২৪ ঘন্টা দূরে থাকো। তুমি আদতে অনুভব করবে ঠিক কতটা সময় সারাটা দিনে রয়েছে।

তুমি অনুভব করবে যেন সময়ই কাটছে না। তুমি অনুভব করবে একটা দিন আদতে ঠিক কতটা বড়। আর তুমি এটাও উপলব্ধি করবে তুমি ঠিক কতটা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছো। বার বার মনে হবে ফোনটা দেখলে ভালো হয়।

পরীক্ষা করে দেখে নিতে পারো। কারণ এভাবে জীবনকে অসাড়ভাবে দ্রুত ফুরিয়ে লাভ নেই। একটা সময় পৃথিবীতে নেশা সৃষ্টি হয়েছিল। পরে নেশামুক্তি কেন্দ্র। এই মোবাইলও অদূর ভবিষ্যতে তোমাকে সাইকো পেসেন্ট বানিয়েই ছাড়বে। তোমাকেও তখন রিহ্যাবের সাহায্য নিতে হবে। সেটা যাতে এই জন্মে না করতে হয়, এখন থেকেই সচেতন হও।

আমার এটা লেখার কারণ একটাই। সামান্য হলেও যদি সচেতনতা আসে, সেটাও অনেক।

মোবাইল তোমার জীবনকে দ্রুত ফুরিয়ে দিচ্ছে। তোমাকে সময়ের গুরুত্ব অনুভব করতে দিচ্ছে না। তোমার বিশ্রামের গভীর রাতগুলোকে সন্ধ্যেতে পরিণত করেছে।

একবার ফোনটা ধরলে নেশার মতো অনিচ্ছা সত্ত্বেও বেশ খানিকক্ষণ স্ক্রীন স্ক্রোল করে চলেছো। খেয়াল করে দেখবে, তুমি আগের মতো পেপার পড়ছো না, বই ওল্টাচ্ছো না এমনকি টিভি দেখাও কমিয়ে ফেলেছো। তুমি আগের মতো কথাও বলছো না, মনের অনুভূতি ভাগ করে নিচ্ছ না।

তোমার অনুসন্ধান করার সব সূত্র শুধু মোবাইল হয়ে গেছে। আড্ডায় উপস্থিত আছো কিন্তু আড্ডা দিচ্ছ না, মূলত ফোন ঘাঁটছো। আলোচনায় উপস্থিত থাকলেও উদাসীন থাকছো। তোমার যেন নতুন আর কিছুই করার, শেখার বা জানার নেই এবং এই সবের মধ্যে তুমি তোমার সারাটা দিন মোবাইলের আবর্তে কাটিয়ে ফেলছো, যা তোমায় বুঝতেই দিচ্ছে না কিভাবে দিনটা শেষ হয়ে যাচ্ছে।

আর এটা বুঝতে যে একটা দিনে কতটা সময় আদতে থাকে বা কতটা সময় তুমি কাজে লাগাতে পারো কিন্তু কাজে লাগাচ্ছ না।

জাস্ট একটা কাজ করো। একটা দিন শুধু ফোনটা বন্ধ করে সেটার সংস্পর্শ থেকে ২৪ ঘন্টা দূরে থাকো। তুমি আদতে অনুভব করবে ঠিক কতটা সময় সারাটা দিনে রয়েছে।

তুমি অনুভব করবে যেন সময়ই কাটছে না। তুমি অনুভব করবে একটা দিন আদতে ঠিক কতটা বড়। আর তুমি এটাও উপলব্ধি করবে তুমি ঠিক কতটা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছো। বার বার মনে হবে ফোনটা দেখলে ভালো হয়।

পরীক্ষা করে দেখে নিতে পারো। কারণ এভাবে জীবনকে অসাড়ভাবে দ্রুত ফুরিয়ে লাভ নেই। একটা সময় পৃথিবীতে নেশা সৃষ্টি হয়েছিল। পরে নেশামুক্তি কেন্দ্র। এই মোবাইলও অদূর ভবিষ্যতে তোমাকে সাইকো পেসেন্ট বানিয়েই ছাড়বে। তোমাকেও তখন রিহ্যাবের সাহায্য নিতে হবে। সেটা যাতে এই জন্মে না করতে হয়, এখন থেকেই সচেতন হও।

আমার এটা লেখার কারণ একটাই। সামান্য হলেও যদি সচেতনতা আসে, সেটাও অনেক।

ধন্যবাদ